54
ডিজিটাল ডেস্ক : অ্যাসিডিটি একটি সাধারণ সমস্যা, তবে এর অত্যধিক বৃদ্ধি অনেক স্বাস্থ্য সমস্যারও কারণ হতে পারে। সাধারণত, একজন ব্যক্তির অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা এবং খাদ্যাভ্যাস তার স্বাস্থ্যের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। অস্বাস্থ্যকর খাবার এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার কারণেও অ্যাসিডিটি বেশি হয়।
আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই ভুলগুলো কি কি…
প্রথম ভুল – ডিহাইড্রেশন
আপনি যখন আপনার শরীরকে সঠিকভাবে হাইড্রেট না করেন, তখন আপনার পাকস্থলীতে উপস্থিত অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং অ্যাসিডিটি দেখা দেয়। ডিহাইড্রেশনের ফলে শরীরে অ্যাসিড রিফ্লাক্স হতে পারে কারণ পাকস্থলীতে পরিপাক অ্যাসিড তৈরির জন্য পর্যাপ্ত জল নেই। জল পান করা অ্যাসিড রিফ্লাক্সের উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন : কালো গমের ব্যবহার এই ৫ টি অসাধারণ স্বাস্থ্য উপকারিতা দেয়, এটি আপনার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করুন
সমাধান
জলের অভাবে পাকস্থলীতে অ্যাসিডিটি প্রতিরোধ করতে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ লিটার জল পান করার চেষ্টা করুন, যাতে আপনি হাইড্রেটেড থাকেন এবং পাকস্থলীতে উপস্থিত অ্যাসিডের পরিমাণ কমে যায় এবং তা প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে পারে বা ঘাম দিয়ে।
দ্বিতীয় ভুল – রাতের খাবারের পরপরই শুয়ে পড়া
মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে হজমের জন্য আমাদের পাকস্থলীতে এসিড তৈরি হয়, এটি আমাদের খাদ্য নালী থেকে আসে এবং তাই খাদ্যের নালীতে প্রচুর ফোলা ভাব হয়। তাই খাবার খাওয়ার পরপরই ঘুমানোর অভ্যাস আপনার পেটে গ্যাস তৈরির সমস্যা বাড়িয়ে দেয়, যা অ্যাসিডিটি, ব্লোটিং এবং বুকজ্বালার সমস্যা বাড়ায়।
আরও পড়ুন : পরিবর্তিত আবহাওয়ায় হজমের সমস্যা আপনাকে বিরক্ত করছে, আরাম পেতে অবলম্বন করুন এই ৫ টি ঘরোয়া উপায়
সমাধান
খাওয়ার পরপরই ঘুম এড়াতে চেষ্টা করুন, সম্ভব হলে অন্তত ১০ থেকে ১৫ মিনিট হাঁটার চেষ্টা করুন এবং রাতে তাড়াতাড়ি খাওয়ার চেষ্টা করুন, যাতে আপনি ঘুমানোর আগে খাবার হজম করার পর্যাপ্ত সময় পান। আর অ্যাসিডিটির সমস্যা যেন না হয়।
ভালো স্বাস্থ্যের জন্য এবং অ্যাসিডিটির সমস্যা এড়াতে, আজ থেকেই এই দুটি অভ্যাসের পরিবর্তন করা শুরু করুন, যাতে পেট সংক্রান্ত সমস্যা বাড়তে না পারে।