জয়পুরহাট সদর উপজেলায় সিএনজি ও ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। রোববার (৫ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জয়পুরহাট-জামালগঞ্জ সড়কের দাদরা হাসপাতাল মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরও ৫ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
নিহত দুজন হলেন জিতেন বর্মণ (৪৫) ও ইদ্রিস আলী (৪৮)। জিতেন পাঁচবিবি উপজেলার সালুয়া গ্রামের বাসিন্দা ও ইদ্রিস বড় মানিক গ্রামের বাসিন্দা। আহতরা হলেন সুনীল বর্মণ (৪৫), ইসমাইল হোসেন (৪৮), আজিজুল ইসলাম (৪২), আলমগীর হোসেন (৪৫) ও অজ্ঞাত একজন। অজ্ঞাত ব্যক্তি সিএনজির চালক ছিলেন বলে আহতরা জানিয়েছে। এদের মধ্যে নিহত দুজন ও আহত চারজন ধান কাটা শ্রমিক ছিলেন।
আহত এক যাত্রী আজিজুল ইসলাম বলেন, আমরা নওগাঁর রানীনগর উপজেলায় ধান কাটতে গিয়েছিলাম। আজ বাড়ি ফিরছিলাম। রানীনগর থেকে সান্তাহার আসি। এরপর সান্তাহার থেকে পাঁচবিবির উদ্দেশ্য ১১ জন মিলে দুটি সিএনজি রিজার্ভ করি। একটিতে ছয় জন, আরেকটিতে পাঁচ জন। আসার সময় চালকসহ ছয় জন থাকা সিএনজি আগে যায়। পরের সিএনজিতে চালকসহ সাতজন ছিল। সেটিতে মেসি ট্রাক্টরের ধাক্কা লাগে।
প্রত্যক্ষদর্শী দাদরা জন্তিগ্রামের বাসিন্দা ফরিদ আহম্মেদ বলেন, আমি দাদরা হাসপাতাল মোড়ে একটি দোকানে বসে ছিলাম। এ সময় পরপর দুটি সিএনজি জয়পুরহাটের দিকে যাচ্ছিল। একটু দূরে গিয়ে একটি সিএনজির ডানপাশে চলন্ত মেসি ট্রাক্টরের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। সঙ্গে সঙ্গে সিএনজি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। সিএনজিতে থাকা লোকজনের মধ্যে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যায়। অপর এক সিএনজিতে তাদেরই লোকজন ছিল। স্থানীয় ও সড়কে চলাচল করা লোক এগিয়ে এসে সেখান থেকে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সরদার রাশেদ মোবারক বলেন, সিএনজি-ট্রাক্টর দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে দুজন মারা গেছেন। আর আহত পাঁচজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জয়পুরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবির বলেন, সিএনজি-ট্রাক্টর দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে নিহত দুজনের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বাংলাদেশ জার্নাল/টিআর