আলিপুরদুয়ার: লোকসভা ভোটের প্রচারের প্রধান ইস্যু হয়ে উঠেছে হাতি। আসলে গজরাজের আক্রমণে জঙ্গল সংলগ্ন এলাকার একের পর এক বাসিন্দার মৃত্যু এবং চাষবাসের ক্ষতি এবারের নির্বাচনে প্রধান ইস্যু আলিপুরদুয়ারে। মৃত ও ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টিকে হাতিয়ার করে সুর চড়াতে শুরু করেছে শাসক ও বিরোধী দুই পক্ষই।
আলিপুরদুয়ার
জেলায় হাতির হানা নিত্যদিনের ঘটনা। লোকালয় বা বনবস্তি এলাকায় হাতির হানার ঘটনায় ক্ষতিপূরণ মেলার আশা থাকে। কিন্তু চা বাগান এলাকায় হাতির হানায় কারোর মৃত্যু হলে বা ক্ষতি হলে কোনও ক্ষতিপূরণ মেলে না। সেটাই এবারে নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তবে কি ক্ষতিপূরণ পাওয়ার প্রশ্নে ব্রাত্যই থেকে যাবেন চা বাগান এলাকার বাসিন্দারা?
আরও পড়ুন: ভোটের আগে বন্ধুত্বের অঙ্গীকার পুলিশের, নাকা তল্লাশিতে অহেতুক আতঙ্ক নয়
চা বাগান এলাকায় ভোট প্রচারে গিয়ে এই প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছেন আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা। এই পরিস্থিতিতে চা বাগান এলাকার বাসিন্দাদের আশা, এবারের লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে যিনি সংসদে তাঁদের প্রতিনিধিত্ব করবেন তিনি হয়ত এই নিয়ম পরিবর্তন করতে সফল হবেন। লোকসভায় তাঁদের সমস্যার কথা তুলে ধরবেন। হয়ত নতুন কোনও নিয়ম প্রণয়ন হবে। আলিপুরদুয়ার জেলার বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প ও জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান লাগোয়া চা বলয় ও বনবস্তি এলাকায় হাতির হানা নিত্য ঘটনায় পরিণত হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও হাতির হানার খবর আসে। সম্প্রতি মাদারিহাটে বুনো হাতির দলের তাণ্ডবে বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্ৰস্থ হয়েছে। শুক্রবার কালচিনি ব্লকের ভার্নোবাড়ি চা বাগানের শ্রমিক মহল্লায় একটি ঘর ও একটি দোকান ঘর ক্ষতিগ্ৰস্থ হয়েছে হাতির হানায়। এদিকে বনববস্তি এলাকায় হাতির তাণ্ডবের জন্য ক্ষতিপূরণ মিললেও সেটা অনেক দেরি পাওয়া যায় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: প্রার্থী নয়, তবুও ভোটারদের বুথে আনতে চান ওঁরা! শহরজুড়ে পথ নাটকে বার্তা
এলাকাবাসীর এই দাবি প্রসঙ্গে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গা বলেন, জেলায় জাতীয় উদ্যান ও ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল থাকায় হাতির হানা বেড়েই চলেছে। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার রাজ্য বিধানসভায় জানানো হয়েছে। বনমন্ত্রী কোনওরকম কথা শোনেননি। লোকসভা নির্বাচনে জয় হলে বিষয়টি সংসদে তুলে ধরব। এই বিষয়ে তৃণমূল প্রার্থী প্রকাশ চিক বরাইক বলেন, আইন প্রণয়ন করা কেন্দ্রের কাজ, চা বাগানের মানুষের ক্ষতি কেন্দ্র এতদিন দেখেনি। এই অবস্থার পরিবর্তন হওয়া উচিত।
অনন্যা দে
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।