মাহবুব চৌধুরী, সিরাজগঞ্জ: সারা বাংলাদেশের ন্যায় সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি- ২ এর কর্মকতা ও কর্মচারীরা ১২ দফা দাবি তে অনিদিষ্ট কালের জন্য কর্মবিরতি পালন করছেন।
রোববার বেলা ১২ টা সময় সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি -২ কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ সময় বক্তারা জানান , পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দ্বৈত নীতির কারণে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা হতে বঞ্চিত হচ্ছে দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা এবং কর্মচারী। দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজে নিয়োজিত কর্মীরা একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও পদ-পদবি, বেতন-ভাতা, বোনাসসহ পদোন্নতির ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে।
সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভিন্ন সময় গণ স্বাক্ষর সংগ্রহ, বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি প্রদানসহ নিয়মতান্ত্রিকভাবেই তাদের দাবি দাওয়া বাস্তবায়নে চেষ্টা করে আসছে। কিন্তু সমিতির নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় থাকা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) তাদের দাবি না মেনে বরং উল্টো প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত ভোলা পবিসের ২ জন এজিএমকে সাময়িক বরখাস্ত, ২ জন এজিএমকে স্ট্যান্ড রিলিজ করে অন্য পিবিএসে বদলী এবং সিরাজগঞ্জ পবিস-২ এর ২ জন এজিএমকে বোর্ডে সংযুক্ত করে।
এতে ৮০টি পবিসের প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারী ক্ষুব্ধ হয়। তবে আজ থেকে আন্দোলনে গেলেও জরুরি বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে প্রতিটি উপকেন্দ্রে একজন করে জনবল কাজ করছে বলে জানান আন্দোলনকারীরা। তবে সকল ধরনের গ্রাহক সেবা ও অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
এ সময় তারা আরো জানান, বৈষম্যগুলো দূর করে বাপবিবো এবং পবিস একই সার্ভিস কোড পরিচালনা করা, ৫ শতাংশ প্রনোদনা জুলাই-২৩ হতে কার্যকর, ২০১৫ সালের পে- জুলাই-১৫ হতে সমধাপে কার্যকর, ৪০০ ইউনিট বিদ্যুৎ বিল ভাতা, ২ দিন সাপ্তাহিক ছুটি, নির্ধারিত কর্মঘণ্টা, অতিরিক্ত কাজের জন্য ওভারটাইম/ডিষ্টারবেন্স এলাউন্স, চিকিৎসা ভাতা, অডিটের নামে হয়রানি না করাসহ সরকার প্রদত্ত সকল সুযোগ-সুবিধা বিআরইবির ন্যায় সমিতির জন্যও বাস্তবায়ন চান তারা।
এসময় সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এবি/এইচএন