ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন নূরুল আলমের ভাই সারোয়ার আলম। তিনি বলেন, ‘শুক্রবার বিকেলে বাড়িতে অনুষ্ঠান চলছিল। সে সময় আমার ভাই বাড়িতে ছিলেন না। বিকেল চারটার দিকে তিন–চারজন লোক বাসায় ঢোকেন। তাঁরা আমার ভাই নূরুল আলমের খোঁজ নেন। ভাইকে না পেয়ে তাঁর স্ত্রী বন্যা বেগম (৩৩), আমার অন্তঃসত্ত্বা বোন তাসলিমা বেগমসহ (৩২) কয়েকজনকে মারধর করেন। আমার ভাইয়ের ৯ বছরের শিশুসন্তানকে চুল ধরে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যান। এসব দৃশ্য মুঠোফোনে ভিডিও করায় আমার এক ভাতিজিকেও তাঁরা মারধর করেন। তাঁর মাথায় বন্দুক দিয়ে আঘাত করেন পুলিশ সদস্যরা। তাঁদের বাঁচাতে গেলে পুলিশ সদস্যরা আমাকে ও ভাবীকে লক্ষ্য করে দুটি গুলি ছোড়েন।’
সারোয়ার আলম অভিযোগ করেন, ‘পুলিশ তল্লাশি করে আমাদের ঘরের মালামাল, স্বর্ণালংকার ও টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। মুঠোফোনের ভিডিও তারা ডিলিট (মুছে দেওয়া) করে দেয়। পুলিশ পিস্তল তাক করার পাশাপাশি গুলিও করেছে। গুলির খোসা আমাদের কাছে আছে। তদন্ত করলেই সব বেরিয়ে আসবে।’