সার্কিট ব্রেকার বলতে কি বুঝায়?
শেয়ার বাজারে সার্কিট ব্রেকার একটি পরিচিত শব্দ। শেয়ার বাজারে একদিনে কোন একটি কোম্পানির শেয়ারের দাম অনেক বেড়ে যাওয়া ও কমে যাওয়া প্রতিহত করার সিস্টেমকেই সার্কিট ব্রেকার বলা হয়। সার্কিট ব্রেকারের বাইরে কেউ চাইলেই শেয়ার বাই সেল করতে পারবে না।
বাজারে সব ক্যাটাগরির শেয়ারের জন্য সার্কিট ব্রেকারের একই আইন। শেয়ারের দামের উপর নির্ভর করে সার্কিট ব্রেকার ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।
বর্তমানে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে সার্কিট ব্রেকার বা দর পরিবর্তনের সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশ। অর্থাৎ একদিনে একটি শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বাড়তে পারে অথবা একইভাবে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত দাম কমতে পারে। তবে, শেয়ারের দাম অনুযায়ী সার্কিট ব্রেকার ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।
ধরুন গতকাল একটি শেয়ারের ক্লোজিং প্রাইজ ছিল ১০০ টাকা। যদি ১০% ঐ শেয়ারে সার্কিট ব্রেকার দেওয়া থাকে তবে সেই শেয়ারটির সর্বোচ্চ দাম উঠতে পারবে ১১০ টাকা এবং সর্বনিম্ন দাম হতে পারবে ৯০ টাকা। এই মূল্য অতিক্রম করে কেউ বাই সেল করতে পারবে না।
শেয়ারের দাম অনুযায়ী ৬ ধরনের সার্কিট ব্রেকার আছে:
১. কোন একটি শেয়ারের দাম যদি ২০০ টাকার মধ্যে থাকে তবে সেই শেয়ারের সার্কিট ব্রেকার হবে ১০%। অর্থাৎ সেই শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ ১০% বাড়তে পারে বা ১০% কমতে পারে।
২. কোন একটি শেয়ারের দাম যদি ২০১ টাকা থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে থাকে তবে সেই শেয়ারের সার্কিট ব্রেকার হবে ৮.৭৫%
৩. কোন একটি শেয়ারের দাম যদি ৫০১ টাকা থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে থাকে তবে সেই শেয়ারের সার্কিট ব্রেকার হবে সাড়ে ৭.৫%
৪. এই রকম ভাবে যেই শেয়ারের দাম ১০০১ টাকা থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে তার সার্কিট ব্রেকার হবে ৬.২৫%।
৫. যেই শেয়ারের দাম ২০০১ টাকা থেকে ৫০০০ টাকার মধ্যে তার সার্কিট ব্রেকার হবে ৫%।
৬. যেই শেয়ারের দাম ৫০০১ টাকা থেকে তার অধিক হবে সেই শেয়ারের সার্কিট ব্রেকার হবে ৩.৭৫% ।