সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটকে অ্যাকাউন্ট খুলেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অ্যাকাউন্ট খোলার ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে তার অনুসারীর সংখ্যা ৩০ লাখে পৌঁছে গেছে।
অথচ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকাকালে জাতীয় নিরাপত্তার কথা বলে চীনভিত্তিক সংক্ষিপ্ত ভিডিও তোলার এ মাধ্যমটি নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি।
সম্প্রতি এক বিবৃতিতে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ট্রাম্প বলেছেন, তিনি আমেরিকার জনগণের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে ‘সম্ভাব্য সব পথ ব্যবহার করবেন’।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১৭ কোটি মানুষ টিকটক ব্যবহার করেন। তাদের বেশিরভাগই তরুণ।
রয়টার্স জানায়, শনিবার রাতে ট্রাম্প @realdonaldtrump নামে টিকটকে একটি অ্যাকাউন্ট খোলেন। প্রথম যে ভিডিও পোস্ট করা হয়, সেটিতে ইউএফসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডানা হোয়াইটকে বলতে শোনা যায়, প্রেসিডেন্ট (সাবেক) ট্রাম্প এখন টিকটকে।
ভিডিওতে ট্রাম্পকে নিউ জার্সিতে আলটিমেট ফাইটিং চ্যাম্পিয়নশিপের একটি ফাইট দেখতে আসা দর্শকদের শুভেচ্ছা জানাতে দেখা যায়। ৫ কোটি ৬০ লাখ মানুষ টিকটকে ভিডিওটি দেখেছেন।
আগামী ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। চলছে ব্যাপক নির্বাচনী প্রচার। ট্রাম্প এবার রিপাবলিকান দলের একমাত্র প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। একটি ফৌজদারি মামলায় ট্রাম্প দোষী সাব্যস্ত হলেও যুক্তরাষ্ট্রের আইনে নির্বাচনে অংশ নিতে তার কোনো বাধা নেই।
রিপাবলিকান সমর্থকদের মধ্যে তুমুল জনপ্রিয় ট্রাম্প। এখন পর্যন্ত হওয়া জনমত জরিপগুলোতে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জো বাইডেনের সঙ্গে তার হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
বাইডেনের নির্বাচনী শিবির ভোটারদের কাছে পৌঁছাতে আগেই টিকটক ব্যবহার শুরু করেছে। তাদের অ্যাকাউন্টে অনুসারীর সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ৩৪ হাজার।
যদিও জাতীয় নিরাপত্তার কথা বলে টিকটক নিষিদ্ধ করার একটি বিলে বাইডেন সই করেছেন। যে বিলে টিকটকের চীনা মালিক প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সকে আগামী জানুয়ারির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের মালিকানা ছেড়ে দেওয়ার জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তা না হলে যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হতে পারে টিকটক। ওই বিলের বিরুদ্ধে আদালতে গেছে বাইটড্যান্স।
বাইটড্যান্সের দাবি, তারা যুক্তরাষ্ট্রের টিকটক ব্যবহারকারীদের তথ্য চীন সরকারকে সরবরাহ করে না। সেই সঙ্গে কোম্পানি থেকে ব্যবহারকারীদের তথ্যের গোপনীয়তার সুরক্ষায় যথেষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
টিকটক ছাড়া এক্সে (সাবেক টুইটার) ট্রাম্পের ৮ কোটি ৭০ লাখ এবং তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ৭০ লাখের বেশি অনুসারী রয়েছে।
অর্থসূচক/এমএস