রাফসানের স্বপ্নটা অনেক বড়। সে শুধু ফুড ভ্লগিংই করতে চায় না, নিজেকে একজন এন্টারটেইনার হিসেবেও পরিচিত করাতে চায়। আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত হতে চায়। কিছুদিন আগেই এই কথাগুলো বলেছিল। আর কয়েক মাস পরই তার ইন্টারন্যাশনাল ভ্লগগুলো দেখলাম। এত গর্ব হচ্ছিল! স্বপ্ন দেখা আর স্বপ্ন সত্যি করার মধ্যবর্তী ধাপে অনেকের স্বপ্নই শেষ হয়ে যায়। কিন্তু রাফসান স্বপ্নগুলো হারিয়ে যেতে দেয় না। একটা আইডিয়াকেও সে ঝরে পড়তে দেয় না। জীবনে বড় হতে গেলে এই মানসিক দৃঢ়তা দরকার অনেক বেশি।
প্রতিটা পদক্ষেপ পরিকল্পনা করে নেয় রাফসান। তার প্রতিটি পরিকল্পনা খুব ভেবেচিন্তে, কৌশলগতভাবে নেওয়া। কোনটা, কোথায়, কীভাবে, কেন করবে, সব তার নখদর্পণে থাকে। নিজের ব্র্যান্ড, নিজের কোম্পানি—সবকিছুই সে সামনের কয়েক বছরে কীভাবে কী করবে পরিকল্পনা করে রেখেছে। গত ডিসেম্বরে রাফসান নিজের পানীয় ব্র্যান্ড ‘ব্লু’ লঞ্চ করে। এত গুছিয়ে পরিকল্পনা করে সব করেছিল বলেই এত কম সময়ে পণ্যটি এত সাড়া ফেলেছে।
রাফসানের ফ্যানবেজ বা ভক্তকুলও বড়ই বিচিত্র! এই মানুষদের মধ্যে ক্লাস ফাইভের ছোট্ট বাচ্চা যেমন আছে, তেমন আমার বিল্ডিংয়ের মধ্যবয়স্ক খালাম্মাও আছেন। সত্যিই অবাক করার মতো ব্যাপার।
বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া একটি ছেলে নিজের ব্র্যান্ড, কোম্পানির ব্র্যান্ড এত বড় করে ফেলল। খুব শিগগির আন্তর্জাতিকভাবেও বাংলাদেশকে উপস্থাপন করবে। আমাদের এই ছোট ভাইকে নিয়ে বেশ গর্ব অনুভব করি। আশা করি, তার প্রতিটা স্বপ্ন সে পূরণ করবে। রাফসানের প্রতিটি আইডিয়া নিয়ে অনেক দূর যাবে—আমাদের ছোট ভাই রাফসানকে নিয়ে পুরো দেশের সঙ্গে এই স্বপ্ন দেখি আমিও।